
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু-নাইক্যংছড়ি সড়ক দিয়ে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় নেওয়ার পথে বিপুল পরিমাণ ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন রাখার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এসময় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে রামু-নাইক্যংছড়ি সড়কের মাথায় চেকপোস্ট বসিয়ে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থানরত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্য আগ্নেয়াস্ত্র সরঞ্জাম নিয়ে রামু হয়ে নাইক্ষংছড়ির দিকে রওনা হয় পাচারকারীরা। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু থানাধীন জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে রামু থানাধীন জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন এর চা বাগানস্থ নাইক্ষ্যংছড়ি রাস্তার মাথায় পাকা রাস্তার উপরে অস্থায়ী চেকপোষ্ট করাকালীন, ১৭ ডিসেম্বর তারিখ রাত ০২.১০ ঘটিকার সময় ০১টি মিনি ট্রাক গাড়িটি তল্লাশী করে। গাড়িটি তল্লাশী করে গাড়ির ভিতরে ৩২টি প্লাস্টিকের সাদা বস্তার মধ্যে সর্বমোট ১৬০০ (এক হাজার ছয়শত) পিস বাউন্ডলি (ম্যাগাজিন রাখার প্রসেস) (গণনা পূর্বক) পাওয়ার পর উক্ত গাড়িতে অবস্থানকৃত দুইজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা জানায় যে, অবৈধভাবে সরকারী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাউন্ডলি (ম্যাগাজিন রাখার প্রসেস) বাংলাদেশ হইতে মায়ানমারে পাচার করার উদ্দেশ্যে গাড়ি যোগে নিয়ে রওনা হয়। আটককৃতরা হলো মোঃ শাহজাহান (২৫), পিতা- নুরুল আলম, মাতা- রাজিয়া বেগম, সাং-কম্বনিয়া, ৭নং ওয়ার্ড, ০১নং নাইক্ষংছড়ি সদর ইউপি, থানা- নাইক্ষংছড়ি, জেলা- বান্দরবান, মোঃ ইলিয়াছ (১৯), পিতা- বদিউজ্জামান, মাতা- আমিন খাতুন, সাং-আশারতলী, ৮নং ওয়ার্ড, ০১নং নাইক্ষংছড়ি সদর ইউপি, থানা- নাইক্ষংছড়ি, জেলা- বান্দরবান, আতিকুর রহমান (২৫), পিতা-এম এ সামাদ, মাতা-ছেনুয়ারা বেগম, সাং-ঘিলাতলী, ওয়ার্ড নং-০২, নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান। তখন মামলার বাদী উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গাড়িতে থাকা ১৬০০ (এক হাজার ছয়শত) পিস বাউন্ডলি (ম্যাগাজিন রাখার প্রসেস) এবং বহনকৃত মিনি পিকআপ গাড়ি ইং ১৭/১২/২০২৫ তারিখ রাত ০২.৪৫ ঘটিকার সময় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা করা হয়।